পাল্টাপাল্টি অভিযোগে চীন-ভারত উত্তেজনা বাড়ছেই
চীন ও ভারতের সীমান্ত সংঘাত ঘিরে এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। গত ৫ মে নতুন করে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা ১৫ জুন ২০ ভারতীয় সেনার প্রাণহানির মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে কেন এ লড়াই? কী কারণে চীন তাদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে আর ভারত প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছে?
ভারতের স্ক্রলডটইনের এক প্রতিবেদনে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে সীমান্ত দ্বন্দ্বের পেছনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মাখামাখির বিষয়টিকে কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। দুটি দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়টি চীন ভালোভাবে দেখছে না।
এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত রয়েছে—এমন দেশের পক্ষ থেকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি তদন্তে চীন বিরক্ত ছিল। সর্বোপরি ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীর আর লাদাখ অঞ্চলকে আলাদা করে ইউনিয়ন টেরিটরি ঘোষণাও চীনকে ক্ষুব্ধ করেছে।
স্ক্রলডটইন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতের সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও চীনাদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীন এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই নীরব থেকেছে। দেশটির সরকারি গণমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত তথ্য নেই। বিষয়টিকে গুরুত্বহীন করে তুলতে চাইছে তারা। স্থানীয় জনরোষ ঠেকাতে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পথ খোলা রাখছে।
সাংহাইয়ে একজন চীনা সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করে হতাহত হওয়ার যে সংখ্যার কথা বলেছেন কিংবা মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য উদ্ধৃতকারী মার্কিন সাংবাদিক পল শিংকম্যান যে ৩৫ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। ভারত ও চীনের সংঘর্ষ নিয়ে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য নেই।
No comments